Healthy Food: স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু, টাটকা খাবার খেতে দারুণ লাগে। তবে এখানেই শেষ নয়। এর পাশাপাশি আরও গুণ রয়েছে। শরীরের জন্য এগুলো অত্যন্ত উপকারী। প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায় আর শরীরকে শক্তপোক্ত করে গড়ে তোলে।
শরীর যাতে আরও ভালভাবে কাজ করে তাই জন্য সেগুলো। দরকারি এর পাশাপাশি শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ অঙ্গাণু সারিয়ে তুলতে এগুলো দিব্যি কাজ করে। বাড়িয়ে তোলে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা। টেনশন দূর করে। মাথার কাজকে আরও ভাল করতে সাহায্য করে।
হলিস্টিক লাইফস্টাইল অ্যান্ড ওয়েলনেস লিউইক কুটিনহো জানাচ্ছেন, এইসব জিনিস আমাদের ভেতরের অঙ্গ রিপেয়ার আর ডিএনএ-র হেলথ মেনটেন করে। ক্রনিক আর জেনেটিক রোগ থেকে দূরে রাখে। ইনফ্লেমেশন বা জ্বালানি থেকে রক্ষা করে। এই সব সমস্যা কম করে। আর সব মিলিয়ে আমাদের আরও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
তেমনই কয়েকটি জিনিস নিয়ে কথা বলব যেগুলো খুবই সাধারণভাবে পাওয়া যায়। আর তা খাওয়া বা ব্যবহার করা কঠিন নয়।
বেদানা- এই ফলটির অনেক গুণ রয়েছে। তাই একে খুবই দরকারি ফল বলে মনে হয়। লাল রঙের এই ফল ভিটামিন-ই, আয়রন, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পটাশিয়াম, ভিটামিন কে-তে ভরপুর। এই ফল হার্টের রোগ ক্যান্সার আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যাকে সামলায়।
এর পাশাপাশি ইনফ্লেমেটরি কন্ডিশন সামলাতে কাজে লাগে। এতে রয়েছে অ্যান্টি এজিং প্রপার্টি। তার ফলে ত্বক বা স্কিন খুব ভাল থাকে।
নারকেল তেল- আপনার ঘরে নারকেল তেল নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু এর যত গুণ তা কি জানেন! খাবারের রান্না করার সময় এই তেল ব্যবহার করলে উপকার পেতে পারি। যেমন নারকেল তেলে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ। যা ত্বক ভাল রাখে।
এর পাশাপাশি ওজন কম করতেও এর তুলনা নেই। নারকেল তেল এনার্জি থাকে। প্রচুর এনার্জির উৎস। তাই দীর্ঘ সময় আপনার খিদে লাগবে না।
মাশরুম- দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন করতে মাশরুমকে এক গুরুত্বপূর্ণ সবজি বলে মানা হয়। মাশরুমে থাকে কম ক্যালোরি। আর ফাইবার, প্রোটিন প্রচুর থাকে। এর পাশাপাশি ভিটামিন-ডি, আয়রন, সেলেনিয়াম আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
হলুদ- ভারতে হলুদের ব্যবহার প্রায় সব বাড়িতেই হয়। হলুদে কিউমিন নামে এক জিনিস থাকে। যাতে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ থাকে। ত্বক, হার্ট, জয়েন্ট বা জোড়া আর অন্য বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন হলুদ ক্যান্সার, অ্যালঝাইমার্স, ডিপ্রেশন আর্থারাইটিসের মতো রোগে অনেক ফায়দা দিতে পারে। রাতে দুধের সঙ্গে হলুদ খাওয়া ভাল বলে মনে করা হয়।
গ্রিন টি- কেবল রিফ্রেশিং আর হাইড্রেটিং বেভারেজ নয়, এর মধ্যে রয়েছে পলিফেনলস যা ইনফ্লেমেশন আর ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে সরিয়ে রাখে।